তরুণ কথাসাহিত্যিক মারুফ মুহাম্মাদ এর লেখা পঙক্তিমালায় তিনি বলেছেন গল্প লেখা সহজ কর্ম না। নিঃসন্দেহে তাই। আবার গল্প লেখা অতটাও কঠিন না। একজন মানুষের লেখালিখির যাত্রাটাও একটি গল্প। মানুষ গল্প শুনতে পছন্দ করে। গল্প শোনা মানুষের জন্মগত অসুখ । সেই অসুখের ডালপালা ছড়ায় শৈশব থেকে । কল্পনায় উঁকি দেয় রূপকথার গল্প ,কিংবা রহস্যে মোড়া অদ্ভুতুরে গল্প । এই গল্প শোনানোর জন্যেও গল্প করা প্রয়োজন । অমর একুশে বইমেলা ২০২১ এ প্রকাশ হতে যাচ্ছে তরুণ কথাসাহিত্যিক মারুফ মুহাম্মাদ এর গল্পগ্রন্থ “জল মেঘের অরণ্যে” বইটি প্রকাশ হচ্ছে শিখা প্রকাশনী থেকে৷ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন তথাগত তৃত। বইটি সম্পর্কে লেখক ছাইলিপির সঙ্গে গল্প করেছেন একদিন। আপনার প্রথম প্রকাশিত বই এটি এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কেমন? মারুফ মুহাম্মাদ– অনুভূতি অবশ্যই ভালো। সেই সাথে একটা দায়িত্ববোধও কাজ করছে। পাঠকের কাছে যেন ভালো একটা বই পৌঁছে দিতে পারি। বইটি পড়ে পাঠকের ভালো লাগলে, তখনই মূল ভালো লাগাটা কাজ করবে। বইটির নাম কেন ” জলমেঘের অরণ্যে” হলো? মারুফ মুহাম্মাদ–এটি একটি গল্পের বই। ষোলটি গল্প দিয়ে বইটি সাজানো। গল্পগুলো বিভিন্ন বিষয়ে লেখা। কোনটা আমাদের চিরচেনা ভুবনের গল্প, কোনটা আবার ব্যাখ্যাতীত।আমার সম্পর্কের গল্প লিখতে বেশি ভালো লাগে। সম্পর্কের বাইরের ব্যাপারগুলোও টানে। আমাদের জীবন এইরকম হাসি, কান্না, ভূত-অদ্ভুত ঘটনাবলীর সমষ্টি। কখনো রোদ, কখনোবা মেঘলা আকাশ। কখনো কখনো নিজেকে গহীন কোন অরণ্যের একটা নির্জন বৃক্ষ বলে মনে হতেই পারে। অনেক ভীড়েও কেমন একা।এসব ভেবেই এই নামকরণ। তবে আমার ধারণা, পাঠক বইটি পড়েও একটা মানে বের করতে পারবে এমন নাম করণের।