বেহেশতে যাওয়ার সহজ উপায়

By: মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী

📖বই প্রসঙ্গ- কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী বেহেশতে যাওয়ার সহজ তরিকা হচ্ছে ঈমানদার ও সৎকর্মশীল হওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘কোন ঈমানদার পুরুষ কিংবা নারী যদি নেক কাজ করে তবে সে জান্নাতবাসী হবে এবং তার উপর বিন্দুমাত্র যুলুম করা হবে না।’ (৪ : ১২৪) ‘কেউ যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং নেক কাজ করে তবে তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে।’ (৬৫ : ১১) আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ।’ (৯৮ : ৭) অথচ, ভুল শিক্ষার কারণে আজ আমাদের ঈমান দুর্বল, ধর্মের মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাওয়ায় পরকালের জবাবদিহিতা ও খোদাভীতি বা তাকওয়া আমাদের মন থেকে তিরোহিত। ফল হিসেবে আমাদের সমাজে অপরাধ প্রবণতা আল্লাহর নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ইসলাম অপরাধ দমনের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি ব্যক্তি চরিত্রের উন্নয়ন সাধনের প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ দমনের প্রধান ও ফলপ্রসু ব্যবস্থা হলো মানুষের অন্তরে খোদাভীতি বা তাকওয়া সুদৃঢ় করা। মানুষের হৃদয়ে যদি দৃঢ় বিশ্বাস ও এই ভয় থাকে যে, সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, পাপাচার ও যুলুমের জন্য পরকালে তাকে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে এবং এ দুনিয়ার জমাকৃত সম্পদ তার কোনো উপকারে আসবে না, তবেই সে সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে সচেষ্ট হবে। কুরআন মানুষকে একথা পরিষ্কারভাবে বলে দেয় যে, সে যত সংগোপনেই অপরাধ করুক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তা জানেন এবং পরকালে এ জন্য তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের উপলব্ধি করা আবশ্যক যে, আল্লাহর রহমত পেতে হলে আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে, নতুবা কেবল আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ সকল প্রকার ইবাদত ও সৎকর্ম বিফলে যাবে। (১৮ : ১০২-১০৪) আশা করি, সুধি পাঠক অত্র বই অধ্যায়নের মাধ্যমে আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন এবং যা আদেশ করেছেন তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অতঃপর বেহেশতে যাওয়ার জন্য যে আমলগুলো বেশি বেশি করতে হবে তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, ইনশা’আল্লাহ । 📚 দারুল হিকমাহ পাবলিকেশন্স লিমিটেড 🏢 ৫/ডি শহীদ ফারুক সড়ক, পশ্চিম যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২০৪। 📞 ফোন : ০১৯১৯০৩১৯১৭ 📧 [email protected] See less



Contact Information

Related Books